ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চালু করা মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি ডিজিটাইজড সেবা চালু হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজনে এবং এসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১৪৬ সেবা এখন পাওয়া যাবে মাইগভে
মাইগভে চালু হওয়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪ সেবা হলো- গণমাধ্যমবিষয়ক প্রশিক্ষণ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের স্থাপনা ভাড়ার আবেদন এবং অনলাইন রেজিস্টেশনের জন্য আবেদন।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘সরকার নাগরিকদের ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদান করতে চায়। এজন্য দরকার একটা সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এ উদ্দেশ্যে এটুআইয়ের সহযোগিতায় সরকার মাইগভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি নাগরিক সেবাকে প্রথম পর্যায়ে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংস্থার সেবাগুলো শিগগিরই যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে ক্যাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।’
সভাপতি ও মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, ‘সেবাগ্রহীতা অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিকবান্ধব সেবা নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’
মাইগভে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্ল্যাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগভে (mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টি নাগরিক সেবাসহ প্রায় ১ হাজার ৯০০টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগভে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইগভে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট